আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
জ্ঞান-বিজ্ঞান মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। জ্ঞান গোটা সৃষ্টি জগতের উপর আদম সন্তানের শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র মাপকাঠি। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতার উন্নতি ও উৎকর্ষতা নির্ভর করে জ্ঞানের উপর । জ্ঞানহীনতাই আলোহীনতা আর আলোহীনতাই অন্ধকার । দুনিয়া ও আখিরাতের আলোকিত জীবন একমাত্র জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই হতে পারে। জগৎসমূহের স্রষ্টা আল্লাহ তা'আলাই একমাত্র মহাজ্ঞানী। তিনি মানবজাতির মুক্তির জন্য নবী-রাসূলদেরকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান দিয়েছেন এবং তাদেরকে মানবতার শিক্ষক বানিয়েছেন। রাসূল (সা) বলেন, 'আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি (ইবনু মাযাহ)।' তাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষাক্ষেত্র একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও আদর্শিক বিষয়। শুধু বস্তুবাদী শিক্ষা দিয়ে আদর্শ রক্ষা করা যেমন সম্ভব নয়, তেমন আত্মিক শুদ্ধতা অর্জনও সম্ভব নয়। যেখানে আত্মার উপর নির্ভর করে বস্তু নিয়ন্ত্রিত হয় সেখানে আত্মিক শিক্ষা বাদ দিয়ে কেবলমাত্র বস্তুবাদী শিক্ষার জয়গান গাওয়া সুষ্পষ্ট গোমরাহী। আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো, পৃথিবীর বস্তুগত সাইন্টিফিক জ্ঞান পরকালে বিন্দুমাত্রও উপকার দিবে না যদি তা আস্তিকতা ও মহান রবের দাসত্বের অধীনে না হয় । সেই বিপদসঙ্কুল জগতে ব্যক্তিকে উপকৃত করবে শুধু তাওহীদ ও ইবাদাত ভিত্তিক শিক্ষা। তাই একত্ববাদের নিমিত্তে জাগতিক ও আত্মিক শিক্ষার সমন্বন অপরিহার্য একটি বিষয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষার লেনদেন এমন ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও সার্বজনীন হওয়া প্রয়োজন, যা দ্বীন ও দুনিয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতাকে উপকৃত করবে। একাডেমিক ও নন-একাডেকি উভয় শিক্ষার একমাত্র ভিত্তি হবে তাওহীদ ভিত্তিক নৈতিকতা। যে শিক্ষাক্ষেত্রে বাহ্যিক-অভ্যন্তরীনভাবেই শিক্ষার্থীকে যোগ্য ও দক্ষ করে তোলা হবে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে একটি আলোর ভূবন। এমন প্রকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরী করার স্বপ্ন নিয়েই আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) মডেল মাদরাসা। মহান আল্লাহই একমাত্র তাওফীকদাতা। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ইসলামী চেতনায় উজ্জীবিত আল্লাহভীরু দক্ষ নাগরিক জাতিকে উপহার দেয়া ।
আমাদের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা
* আল-কুরআন বিশুদ্ধকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ ।
* ট্রাইলিঙ্গুয়াল তথা আরবী, ইংরেজী ও বাংলা ভাষায় যথার্থ পারদর্শিতা সৃষ্টি